স্টাফ রিপোর্টার//সময়নিউজবিডি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আল্ট্রাসনােগ্রাম রিপোর্ট নিয়ে সেবা ক্লিনিক নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে লঙ্কাকাণ্ড শুরু হয়েছে। এ নিয়ে ফের আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন সেবা ক্লিনিক। আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে মায়ের গর্ভে দুটি যমজ শিশু। অথচ প্রসব হওয়ার পর ঐ মায়ের কোলে তুলে দেওয়া হয়েছে একটি শিশু। এ নিয়ে সেবা ক্লিনিকের বিরুদ্ধে পুরো জেলা শহর জুড়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
সোমবার (২০ জুলাই) সন্ধ্যায় পৌর শহরের পশ্চিম পাইকপাড়া সেবা ক্লিনিক নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই (উত্তর) ইউনিয়নের ভাটপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মাহবুবুর রহমানের স্ত্রী শিউলী বেগম প্রসব ব্যাথা নিয়ে গতকাল সোমবার বিকেলে সেবা ক্লিনিকে ভর্তি হন। গত ১২ জুলাই আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট করানো হলে রিপোর্টে দুটি যমজ শিশু সন্তান রয়েছে বলে গর্ভবর্তী মাকে জানানো হয়। পরে সোমবার সন্ধ্যায় সেবা ক্লিনিক এর চিকিৎসক সাইমা রহমানের অধীনে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে এক শিশুর জন্ম দেন শিউলী।
এদিকে অপারেশনের আগে দুই যমজ শিশুর কথা বলা হলেও অপারেশনের পর শিউলীর পরিবারকে জানানো হয় তিনি একটি সন্তান জন্ম দিয়েছেন। এ নিয়ে সেবা ক্লিনিকের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন শিউলীর পরিবারের লোকজন।
শিউলী বেগমের মা সালমা বেগম জানান, তার মেয়ে গর্ভবতী হওয়ার পর থেকে সেবা ক্লিনিকের ডাঃ সাইমা রহমানকে নিয়মিত দেখাতেন। সর্বশেষ তার পরামর্শে জেলা শহরের সেফ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডাঃ মোহাম্মদ মোজাম্মেল হকের কাছে আল্ট্রাসনোগ্রাম করানো হয়। আল্ট্রাসনোগাম রিপোর্ট অনুযায়ী শিউলী বেগমের গর্ভে দুটি যমজ সন্তান রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
এ ব্যাপারে সিজারিয়ান চিকিৎসক সাইমা রহমান এ প্রতিবেদককে জানান, আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টটি ভুল ছিল। অপারেশনের সময় গর্ভে একটি শিশুই ছিল।
এ ব্যাপারে সেফ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চিকিৎসক মোহাম্মদ মোজাম্মেল হকও আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টটি ভুল ছিলো বলে জানান।
ইনাম/সময়নিউজবিডি টুয়েন্টিফোর।
Leave a Reply